তিন বন্ধুর ধর্ষণের শিকার নবম শ্রেণির ছাত্রী

চাঁদপুরে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী। এ ঘটনায় গ্রামবাসীর সহযোগিতায় জড়িত একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে আরো দুজনকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। 

রোববার দুপুরে চাঁদপুর সদর বিচারিক হাকিমের আদালতে ১৬৪ ধারায় ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জবানবন্দি দিয়েছে ছাত্রীটি।

এর আগে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার এই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আসিবুল হাসান আসিফ জানান,  ভিকটিমের শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।

চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের খেরুদিয়া গ্রামে শনিবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় গণধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে।

নবমশ্রেণির ওই ছাত্রীটি তাদের বসতঘরের পাশে গরুর জন্য খাবার নিয়ে খড়ের গাদার কাছে যায়। এসময় তার চাচাতো ভাইসহ আরো দুজন মুখ চেপে ধরে পাশের বাগানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।

পরে বাগান থেকে স্বজনরা অচেতন অবস্থায় ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় আজ রোববার সকালে ধর্ষিতার বাবা তিনজনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

আসামিরা হচ্ছেন,  রহিম খান (২৫), শামীম হোসেন (২৬) এবং শাহাদাত গাজী (২৪)। এদের মধ্যে স্থানীয়রা রহিম খানকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।

সদর মডেল থানার ওসি মো. নাসিম উদ্দিন জানান, গা ঢাকা দেওয়া অন্য দুজনকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

ওসি আরো জানান, এরইমধ্যে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সুমন ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি সম্পন্ন করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে,  বাবা মা হারা ১৬ বছরের এই মেয়েটিকে খেরুদিয়া গ্রামের এককৃষক লালন পালন করছেন। শুধু তাই নয়, তাকে এলাকার একটি স্কুলে পড়াচ্ছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন